হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় মোট প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা- ৪৬৭৩ জন
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়নের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর (ডিএসএস) একটি সফটওয়ার প্রতিষ্ঠা করে যার নাম প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ (ডিআইএস)। প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ (ডিআইএস) এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬৫১৬৭৬ জন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবন্ধিতা এবং এর কারণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে সমাজে নানা ধরনের ভুল বিশ্বাস ও প্রথা প্রচলিত রয়েছে। সরকার সামগ্রিক উন্নয়ন, অধিকার ও সুরক্ষার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূল স্রোতে যুক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে একটি হল প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচি।
বাস্তবায়নকারী দফতর:
সমাজসেবা অধিদফতর
কার্যক্রম শুরুর বছর: ২০০৫-২০০৬ অর্থবছর
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
১. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি প্রদত্ত সাংবিধানিক ও আইনগত প্রতিশ্রুতি পূরণ;
২. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন;
৩. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনয়ন;
৪. সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণপূর্বক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাছাইকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য মাসিক ভাতা প্রদান;
৫. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়টি জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তকরণ।
৬. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জরিপ করে সুবর্ণ নাগরিক কার্ড প্রদান।
ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী
(১) হরিণাকুণ্ডু উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে;
(২) জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর থাকতে হবে;
(৩) সুবর্ণ নাগরিক কার্ড থাকতে হবে
(৪) বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।
ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা
(১) সরকারি কর্মচারী পেনশনভোগী হলে;
(২) দুঃস্থ মহিলা হিসেবে ভিজিডি কার্ডধারী হলে;
(৩) অন্য কোনোভাবে নিয়মিত সরকারী অনুদান/ভাতা প্রাপ্ত হলে;
(৪) কোনো বেসরকারি সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিতভাবে আর্থিক অনুদান/ভাতা প্রাপ্ত হলে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস